Header Ads

ad728
  • Breaking News

    নেলসন মেন্ডেলা

                         
                               নেলসন মেন্ডেলা

    বিশ্বের এক সংগ্রামী নেতা,যিনি কৃষ্ণাঙ্গ ও শ্বেতাঙ্গের মাঝে বৈষম্যতা দূর করার জন্য আপ্রান চেষ্টা করে গেছেন।তাঁর এই মহান সংগ্রাম এখন সফল।এই অবিসংবাদিত নেতার সংক্ষিপ্ত জীবনী নিন্মরুপ-

    নেলসন রোলিহ্লাহ্লা ম্যান্ডেলা ১৮ জুলাই ১৯১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার থেম্বু রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন। ম্যান্ডেলার পিতা মপাকানইসার ছিল চারজন স্ত্রী ও সর্বমোট ১৩টি সন্তান(৪ পুত্র, ৯ কন্যা)। ম্যান্ডেলার মা মপাকানইসার ৩য় স্ত্রী নোসেকেনি ফ্যানি। তাঁর ডাক নাম ‘‘ রোলিহ্লাহ্লা’’ অর্থ হলো ‘‘ গাছের ডাল ভাঙে যে’’ অর্থাৎ দুষ্ট ছেলে। ম্যান্ডেলা তাঁর পরিবারের প্রথম সদস্য যিনি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। স্কুলে পড়ার সময়ে তাঁর শিক্ষিকা মদিঙ্গানে তাঁর ইংরেজি নাম রাখেন ‘‘নেলসন’’। দক্ষিণ আফ্রিকায় ম্যান্ডেলা তাঁর গোত্রের দেয়া ‘‘মাদিবা’’ নামে পরিচিত।



    শৈশব কাটে নানার বাড়িতে। স্কুল থেকে পাস করার পর ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অফ আর্টস কোর্সে ভর্তি হন। এখানেই অলিভার টাম্বোর সাথে তার পরিচয় হয়। টাম্বো ছিল ম্যান্ডেলার ঘনিষ্ঠ বন্ধু। অন্য বন্ধু ট্রান্সকেই এর সিংহাসনের উত্তরাধিকারী কাইজার (কে ডি) মাটানজিমা। যার হাত ধরে বান্টুস্থানের রাজনীতি ও নীতিনির্ধারণের সাথে জড়িত হন তিনি। পরবর্তীতে এসব নীতিমালার ক্ষেত্রে দুজনে মতবিরোধ হয়।



    বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ম বর্ষের শেষে ম্যান্ডেলা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ছাত্র সংসদের ডাকা আন্দোলনে জড়িত হয়ে পড়েন। এর জন্য তাকে ফোর্ট হেয়ার থেকে চলে যেতে বলা হয়।

    ম্যান্ডেলা ফোর্ট হেয়ার ছাড়ার পর জানতে পারেন, জোঙ্গিন্তাবা তাঁর সন্তান জাস্টিস (যুবরাজ ও সিংহাসনের উত্তরাধিকারী) এবং ম্যান্ডেলার বিয়ে ঠিক করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিয়ে করতে রাজি না থাকায় তারা জোহানেসবার্গে চলে যান। সেখানে একটি খনিতে প্রহরী হিসাবে কাজ নেন ম্যান্ডেলা। বিয়ে এড়াতে জোঙ্গিন্তাবার থেকে পালিয়ে আসার বিষয়টা খনির মালিক কিছুদিন পরেই জেনে যান। এ কারণে তাকে কাজ থেকে ছাঁটাই করে দেয়া হয়। পরবর্তীকালে জোহানেসবার্গের আইনী প্রতিষ্ঠান উইটকিন, সিডেলস্কি অ্যান্ড এডেলম্যানে কেরানি হিসাবে যোগ দেন। এই প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময়ে ম্যান্ডেলা ইউনিভার্সিটি অফ সাউথ আফ্রিকার দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের অধীনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পরে ইউনিভার্সিটি অফ উইটওয়াটার্সরান্ডে আইন বিষয়ে স্নাতকোত্তর পড়াশোনা শুরু করেন। এসময় তিনি জোহানেসবার্গের উত্তর দিকের শহর আলেক্সান্ড্রিয়াতে বাস করতেন।



    দক্ষিণ আফ্রিকায় ১৯৪৮ এর নির্বাচনে বর্ণবাদে বিশ্বাসী ও বিভিন্ন জাতিকে আলাদা করার পক্ষপাতি থাকা আফ্রিকানারদের দল ন্যাশনাল পার্টি জয়লাভ করে। ন্যাশনাল পার্টির ক্ষমতায় আসার প্রেক্ষপটে ম্যান্ডেলা সক্রিয়ভাবে রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের ১৯৫২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৫৫ সালে জনগণের সম্মেলনেও তার ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এ সম্মেলনে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদ বিরোধী আন্দোলনের মূল ভিত্তি হিসাবে মুক্তি সনদ প্রণয়ন করেন তিনি।



    রাজনৈতিক জীবনের প্রথমভাগে তিনি মহাত্ম গান্ধীর দর্শণ দ্বারা প্রভাবিত হন। ম্যান্ডেলা প্রথম থেকেই অহিংস আন্দোলনের পক্ষপাতী ছিলেন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদী শ্বেতাঙ্গ সরকার ১৯৫৬ সালের ৫ই ডিসেম্বর ম্যান্ডেলা সহ ১৫০ জন বর্ণবাদ বিরোধীকর্মীকে দেশদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার করে। সুদীর্ঘ ৫ বছর (১৯৫৬-১৯৬১) ধরে মামলা চললেও পরে সব আসামী নির্দোষ প্রামণিত হয়।

    ১৯৬১ সালে এএনসির সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন ‘উমখোন্তো উই সিযওয়ে’ (অর্থাৎ ‘‘দেশের বল্লম’’) এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে নেতৃত্ব গ্রহণ করেন ম্যান্ডেলা। তিনি বর্ণবাদী সরকার ও তার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতী ও চোরাগোপ্তা হামলা পরিকল্পনা ও সমন্বয় করেন। এতে বর্ণবাদী সরকার পিছু না হটলে প্রয়োজনবোধে গেরিলা যুদ্ধে যাবার জন্যও পরিকল্পনা করেন।



    ম্যান্ডেলার সহকর্মী উলফি কাদেশ ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে শুরু করেন সশস্ত্র আন্দোলন। ম্যান্ডেলা নিজে তাঁর এই সশস্ত্র আন্দোলনকে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে নিতান্তই শেষ চেষ্টা বলে অভিহিত করেন। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা নিপীড়ন ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলন সফল হবে না বলে তিনি উপলব্ধি করেন এবং এ জন্যই সশস্ত্র আন্দোলনের পথ বেছে নেন।

    ১৯৬২ সালের ৫ই আগষ্ট ম্যান্ডেলাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে জোহানেসবার্গের দূর্গে আটক রাখা হয়। ১৯৬১ সালে শ্রমিক ধর্মঘটে নেতৃত্ব দেয়া এবং বেআইনীভাবে দেশের বাইরে যাবার অভিযোগে তাঁকে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৬২ সালের ২৫ শে অক্টোবর ম্যান্ডেলাকে এই দুই অভিযোগে ৫ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এর দুই বছর পর ১৯৬৪ সালের ১১ ই জুন ম্যান্ডেলার বিরুদ্ধে এএনসির সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্বদানের অভিযোগ আনা হয় ও শাস্তি দেয়া হয়।

    ম্যান্ডেলার কারাবাস শুরু হয় রবেন দ্বীপের কারাগারে। এখানে তিনি তাঁর ২৭ বছরের কারাবাসের প্রথম ১৮ বছর কাটান। সশ্রম কারাদণ্ডের অংশ হিসাবে রবেন দ্বীপের কারাগারে ম্যান্ডেলা একটি চুনাপাথরের খনিতে শ্রমিক হিসাবে কাজ করতে বাধ্য হন। কারাগারে থাকার সময়ে ম্যান্ডেলা লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরশিক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় পড়াশোনা শুরু করেন এবং আইনে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন।



    ১৯৬৪ সালের ২০ শে এপ্রিল প্রিটোরিয়াল সুপ্রিম কোর্টে আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ম্যান্ডেলা তাঁর জবানবন্দিতে ব্যাখ্যা করেন কেনো এএনসি সশস্ত্র আন্দোলন বেছে নিয়েছে। ম্যান্ডেলা বলেন যে, ‘‘বহু বছর ধরে এএনসি অহিংস আন্দোলন চালিয়ে এসেছিলো। কিন্তু শার্পভিলেন গণহত্যার পর তাঁরা অহিংস আন্দোলনের পথ ত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই গণহত্যা, কৃষ্ণাঙ্গদের অধিকারকে অবজ্ঞা করে দক্ষিণ আফ্রিকা প্রজাতন্ত্র ঘোষণা দেয়া, জরুরি অবস্থার ঘোষণা এবং এএনসিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পরে ম্যান্ডেলা ও তাঁর সহযোদ্ধারা অন্তর্ঘাতমূলক সশস্ত্র সংগ্রামকেই বেছে নেন। তাঁদের মতে সশস্ত্র আন্দোলন ছাড়া অন্য কোনো কিছুই হতো বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের নামান্তর।’’

    ১৯৮০র দশকে এমকে বর্ণবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করে। এতে অনেক বেসামরিক লোক হতাহত হন। ম্যান্ডেলা স্বীকার করেন, বর্ণবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাতে গিয়ে এএনসি অনেক সময় মানবাধিকার লংঘন করেছে।



    পরবর্তীকালে ১৯৮১ সালে তাঁকে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেয়া হয়। কিন্তু তিনি প্রিন্সেস অ্যানের কাছে সেই নির্বাচনে হেরে যান।

    ১৯৮২ সালের মার্চ মাসে ম্যান্ডেলাকে রবেন দ্বীপের কারাগার থেকে পোলসমুর কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

    ১৯৮৫ সালের ফেব্র“য়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি পি ডব্লিউ বোথা ম্যান্ডেলাকে শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব দেন। শর্তটি ছিলো, ম্যান্ডেলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সশস্ত্র সংগ্রাম ত্যাগ করতে হবে। ম্যান্ডেলা এই প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন। তাঁর মেয়ে জিন্দজির মাধ্যমে একটি বিবৃতি দেন। যাতে তিনি বলেন, ‘‘ আমাকে মুক্ত করার জন্য দেয়া এ কেমনতরো প্রস্তাব, যেখানে জনগণের সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করে রাখা হচ্ছে? কেবল মুক্ত মানুষই আলোচনায় বসতে পারে। বন্দীরা কখনো চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে না।

    ম্যান্ডেলা ও ন্যাশনাল পার্টি সরকারের মধ্যকার প্রথম আলোচনাটি অনুষ্ঠিত হয় ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। কোবি কোয়েটসি ম্যান্ডেলার সাথে কেপ টাউনের ভোক্স হাসপাতালে দেখা করেন। ম্যান্ডেলা তখন প্রস্টেট গ্রন্থিও শল্য চিকিৎসা শেষে আরোগ্য লাভ করছিলেন। পরের চার বছর ধরে ম্যান্ডেলার সাথে সরকার একাধিকবার আলোচনায় বসে। কিন্তু এসব আলোচনায় বিশেষ কিছু অগ্রগতি হয়নি।



    ১৯৮৮ সালে ম্যান্ডেলাকে ভিক্টর ভার্সটার কারাগারে সরিয়ে নেয়া হয়। মুক্তির আগ পর্যন্ত সেখানেই বন্দী ছিলেন তিনি।

    ১৯৮৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি বোথা হৃদরোগে আক্রান্ত হন এবং পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন ফ্রেডেরিক উইলেম ডি ক্লার্ক। রাজনৈতিক এই পটপরিবর্তনের পরেই ডি ক্লার্ক ১৯৯০ সালের ফেব্র“য়ারি মাসে ম্যান্ডেলাকে মুক্তি দেয়ার কথা ঘোষণা করেন।

    ১৯৯০ সালের ২রা ফেব্র“য়ারি দক্ষিণ আফ্রিকার তদানিন্তন রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ক্লার্ক আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস সহ অন্যান্য বর্ণবাদ বিরোধী সংগঠনের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুনে নেন। একই সাথে তিনি ঘোষণা দেন, ম্যান্ডেলাকে অচিরেই মুক্তি দেয়া হবে।

    ভিক্টর ভার্সটার কারাগার থেকে ম্যান্ডেলাকে ১৯৯০ সালের ১১ই ফেব্র“য়ারি মুক্তি দেয়া হয়।



    মুক্তির দিনে ম্যান্ডেলা জাতির উদ্দেশ্যে একটি ভাষণ দেন, ‘‘ ১৯৬০ সালে আমরা সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করতে বাধ্য হই। বর্ণবাদের হিংস্রতার হাত থেকে আত্মরক্ষার খাতিরেই আমরা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সশস্ত্র অঙ্গসংগঠন উমখান্তো উই সিযওয়ে গঠন করেছিলাম। সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করার পেছনের কারণগুলো এখনো রয়ে গেছে। তাই এ সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আমাদের হাতে আর কোনো পথ নেই। আমরা আশা করি, শান্তি আলোচনার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ অচিরেই সৃষ্টি হবে এবং আমাদের আর সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাবার দরকার থাকবে না। সংখ্যাগুরু কৃষ্ণাঙ্গদের জন্য শান্তি নিয়ে আসা, আর স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার সুনিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’’

    কারা মুক্তির পর ম্যান্ডেলা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯০ হতে ১৯৯৪ পর্যন্ত তিনি এই দলের নেতা ছিলেন।



    ১৯৯৩ সালের এপ্রিল মাসে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের নেতা ক্রিস হানিকে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকণ্ডের ফলে সারা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। সেসময় দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি না থাকা সত্বেও ম্যান্ডেলা রাষ্ট্রপতি সুলভ ভাষণ দেন। ম্যান্ডেলা এসময় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া এক ভাষণে শান্তি বজায় রাখার অনুরোধ জানান। দেশের কিছু অংশে দাঙ্গা হলেও মোটের উপর শান্তি বজায় থাকে তার আহ্বানে। এই সময় তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় বর্ণবাদ অবসানের লক্ষ্যে সরকারের সাথে আলোচনায় বসেন। এই শান্তি আলোচনা ফলপ্রসূ হবার পর ১৯৯৪ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সব বর্ণের মানুষের অংশগ্রহণে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গণতান্ত্রিকভাবে প্রথম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন ম্যান্ডেলা। তিনি ১৯৯৪ হতে ১৯৯৯ পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন।



    ২০০৪ সালে জনজীবন থেকে অবসর নিয়েছেন ম্যান্ডেলা।

    ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় ম্যাগাজিন রিডার্স ডাইজেস্টকে একান্ত সাক্ষাৎকার বলেছেন , ” আমি কোনো দেবতা হিসেবে উপস্থাপিত হতে চাই না। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবেই স্মরণীয় হয়ে থাকতে চাই, যার ভালো-মন্দ দুই-ই আছে। ”

    ২০০৮ এর জুলাই পর্যন্ত ম্যান্ডেলা ও এএনসি কর্মীদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেদ্ধাজ্ঞা ছিল। শুধু মাত্র নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে তাঁদের আসার অনুমতি ছিলো। এর কারণ ছিলো ম্যান্ডেলার ষাটের দশকের সশস্ত্র আন্দোলনে দক্ষিণ আফ্রিকার তদানিন্তন সরকার ম্যান্ডেলা ও এএনসিকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করেছিল। ২০০৮ এর জুলাইতে এসেই ম্যান্ডেলাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকারে প্রণীত সন্ত্রাসবাদীদের তালিকা হতে সরিয়ে নেয়া হয়।

    দক্ষিণ আফ্রিকার সরকারের সাথে শান্তি আলোচনায় অবদান রাখার জন্য ম্যান্ডেলা এবং রাষ্ট্রপতি এফ ডব্লিউ ডি ক্লার্ককে ১৯৯৩ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেয়া হয়। গত চার দশকে ম্যান্ডলো ২৫০টিরও অধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তাছাড়াও তিনি ১৯৮৮ সালে শাখারভ পুরস্কাররে অভষিকে পুরস্কারটি যৌথভাবে অর্জন করেন।

    ব্যক্তিগত জীবনে ম্যান্ডেলা ৩ বার বিয়ে করেন। তাঁর ৬টি সন্তান, ২০জন নাতি-নাতনি এবং অনেক প্রপৌত্র রয়েছে। থেম্বুর উপজাতীয় নেতা মান্দলা ম্যান্ডেলা হলেন নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি।

    নেলসন মেন্ডলা তার সম্পূর্ণ চেষ্টা ও উদ্যমের মাধ্যমে তার লক্ষ্যকে সফল করেন।তার জীবনী আমাদের জন্য অনেক শিক্ষনীয়।

    কোন মন্তব্য নেই

    Post Top Ad

    ad728

    Post Bottom Ad

    ad728